নারায়ণগঞ্জে অভিযানে জঙ্গিনেতা তামিমসহ নিহত ৩
কানাডা প্রবাসী বাংলাদেশি তামিম (৩০) গুলশান হামলার মূল পরিকল্পনাকারী বলে পুলিশ দাবি করে আসছে। তাকে ধরিয়ে দিতে ২০ লাখ টাকা পুরস্কারের ঘোষণা ছিল।
২০১৩ সালে কানাডা থেকে আসার পর তামিম বাংলাদেশেই ছিলেন বলে গোয়েন্দারা ধারণা করছিলেন। তার নির্দেশনায়ই গত ১ জুলাই জঙ্গিরা গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালিয়েছিল বলে গোয়েন্দাদের দাবি।
গুলশান হামলার পর বিভিন্ন স্থানে জঙ্গি আস্তানার সন্ধানে অভিযান চালাচ্ছিল পুলিশ। এর মধ্যে ঢাকার কল্যাণপুরে একটি আস্তানায় অভিযানে নয় জঙ্গি নিহত হন।
এরপর শনিবার ভোরে নারায়ণগঞ্জ শহরের পাইকপাড়ায় বড় কবরস্থানের পাশের একটি পাঁচতলা ভবন ঘিরে অভিযানে নামে ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের একটি দল।
নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মাঈনুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ঢাকা থেকে এসে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের একটি দল পাইকপাড়ার একটি বাড়ি ঘিরে এই অভিযান চালাচ্ছে।”
নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়া
এরপর অভিযানে র্যাব ও জেলা পুলিশ সদস্যরাও যোগ দেন। ভোর থেকে ঘিরে রাখার পর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গোলাগুলি শুরু হয়।
সেখানে উপস্থিত নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারুক হোসেন তখন সাংবাদিকদের বলেন, “ভবনটির ভেতরে ঢুকতে অভিযান শুরু হয়েছে।”
প্রায় এক ঘণ্টা ধরে গোলাগুলির পর শব্দ কমে আসে।
এরপর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ওই বাড়িতে থাকা তামিমসহ তিনজনের নিহত হওয়ার খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে নিশ্চিত করেন ডিএমপির অতিরিক্ত উপকমিশনার ছানোয়ার হোসেন।
খানিক পর কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলামও তিনজনের মধ্যে তামিমের থাকার খবর খবর নিশ্চিত করে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বাকি দুজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
সন্ত্রাস দমনে গঠিত ডিএমপির এই শাখার প্রধান মনিরুল বলেন, “ জেএমবির এক সদস্যকে গ্রেপ্তারেরপর তার দেওয়া তথ্যে এই আস্তানার খোঁজ মেলে। এরপর এখানে ‘অপারেশন হিট স্টর্ম’ চালানো হয়।”
অভিযান শেষ হয়েছে বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানালেও পাইকপাড়ার ওই এলাকা বেলা ১১টার দিকেও ঘিরে রাখা ছিল। সেখানে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছিল না।
0 comments :