মাথার চুলকানি রোধ করার নিয়ম
মাথার চুলে যে উকুন হয় তাকে পেডিকিউলাস ক্যাপিটিস বলা হয়।
উকুন হওয়ার কারণ : ক. আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে থাকা, একই বিছানা বা পোশাক-পরিচ্ছদ ব্যবহার করা, একই চিরুনি দিয়ে চুল আচ চড়ানো, মাথা পরিষ্কার না রাখা ইত্যাদি কারণে এ রোগ হয়ে থাকে। মানুষের দেহে তিন প্রকার উকুন থাকে। মাথার চুলে যে উকুন হয় তাকে বলা হয় পেডিকিউলাস ক্যাপিটিস। দেহে যে উকুন হয় তাকে বলা হয় পেডিকিউলাস করপোরিস এবং বিটপ দেশের লোমে, বগলে, গোঁফে-দাড়িতে, চোখের পাতায় যে উকুন হয় তাকে বলা হয় পেডিকিউলাস পিউবিস। মাথার উকুন তামাটে বর্ণের হয়। এরা এক একবারে শতাধিক ডিম পাড়ে, যাদের নিকি বলা হয়। এ নিকি থেকে এক থেকে দেড় সপ্তাহের মধ্যে বাচ্চা হয় এবং মাথার উকুনের সংখ্যা বাড়তে থাকে।
চিকিৎসা : লোশন পারমেথিরিন ১ ভাগ মাথায় ভালোভাবে লাগাতে হয় এবং মাথায় কাপড় দিয়ে বেঁধে রাখতে হয়, যাতে উকুন পালিয়ে যেতে না পারে। ব্যবহার শেষে ভালোভাবে সাবান-জলে স্নান করে নিতে হয়।
খুশকি : সাধারণভাবে মাথায় হালকা মতো মরা চামড়া ওঠাকে খুশকি বলা হয়। এ ক্ষেত্রে মাথায় চুলকানি থাকে, মাথার ত্বকে কুটকুটে ভাব থাকে। মাথার চুল বেড়ে গেলে, চুল ভেজা থাকা অবস্থায় আচ চড়ালে, মাথায় ময়লা জমলে, তেল বেশি বেশি ব্যবহার করলে এবং সেই সঙ্গে মাথায় ছত্রাকের আক্রমণ ঘটলে রোগের উপসর্গ বেড়ে যায়। এক্ষেত্রে তাই একই চিরুনি অনেকে ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। অনেক ক্ষেত্রেই খুশকিকে সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করা সম্ভব হয় না তবে দমিয়ে রাখা যায়। যাদের মাথায় খুশকি হয় তাদের তেল মাখা কমিয়ে দিতে হবে অথবা বন্ধ করে দিতে হবে। খুশকি নিয়ন্ত্রণে না রাখলে চুল পড়ে যেতে পারে। একে নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই জরুরি। অ্যান্টি ড্যানড্রাফ শ্যাম্পু বাজারে এখন সর্বত্রই পাওয়া যায়। এটি ব্যবহারের মাধ্যমে একে খুব সহজেই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
মাথার দাদ : ছত্রাকের আক্রমণ যখন মাথায় ঘটে তখন তাকে টিনিয়া ক্যাপিটিস বলা হয় বা মাথার দাদ বলা হয়। এ রোগটি বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই শিশুদের মাথায় হতে দেখা যায়, তবে খুব কম ক্ষেত্রেই বড়দের হয়।
চিকিৎসা : এক্ষেত্রে দাদ নিরোধক অ্যান্টি ফাংগাল ওষুধ যেমন গ্রাইসিওফুলভিন ৫ মিঃ গ্রাম শরীরের ওজনের অনুপাতে এক থেকে দেড় মাস খেতে হয়।
0 comments :